দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন

সাতক্ষীরার ৪টি আসনে ৩০ প্রার্থীর ২৩ জনই জামানত হারাচ্ছেন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে ৩০ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির ২ জন, তৃণমূল বিএনপির ৪ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭ জনসহ ২৩ জনই জামানত হারাচ্ছেন। গতকাল রোববার ভোট গ্রহণ শেষে রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী যদি না পান, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে প্রার্থী ছিলেন ১০ জন, এর মধ্যে ৮ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭২ হাজার ৪৩। ১৬৮ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২ লাখ ২ হাজার ১২৫টি। এর ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ২৫ হাজার ২৬৬, যা পাননি ৮ জন প্রার্থী। এখানে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত ২৬ হাজার ৮২১ ভোট পেয়েছেন।

সাতক্ষীরা-১ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন—স্বতন্ত্র এস এম মুজিবর রহমান, মো. নূরুল ইসলাম, শেখ নুরুল ইসলাম ও শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ইয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শেখ মো. আলমগীর ও তৃণমুল বিএনপির সুমি।

সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে প্রার্থী ছিলেন সাতজন। তাঁদের পাঁচজনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ৬০৮। ১৩৮টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৪৬টি। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ১৬ হাজার ৩৩১। এই পরিমাণ ভোট পাননি পাঁচজন প্রার্থী।

এ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু ৮৮ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪৪৭ ভোট। জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন—স্বতন্ত্র আফসার আলী ও এনছান বাহার বুলবুল, তৃণমূল বিএনপির মোস্তফা ফারহান মেহেদী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আনোয়ার হোসেন এবং বিএনএমের মো. কামরুজ্জামান বুলু।

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি, দেবহাটা ও কালীগঞ্জ একাংশ) আসনে প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩১ হাজার ৩৮০। মোট ১৫৪টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২ লাখ ২ হাজার ২৮৪টি। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ২৫ হাজার ২৮৬টি।

এ আসনে নৌকা প্রতীকের আ ফ ম রুহুল হক ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সবাই জামানাত হারাচ্ছেন। তাঁরা হচ্ছেন—জাতীয় পার্টির আলিপ হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আবদুল হামিদ, জাকের পার্টির মো. মঞ্জুর হাসান, তৃণমূল বিএনপির রুবেল হোসেন ও বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের শেখ তারিকুল ইসলাম।

সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালীগঞ্জের একাংশ) আসনে প্রার্থী ছিলেন সাতজন। তাঁদের পাঁচজনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ১৯৩। মোট ১৪২টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৩৫টি। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ২৩ হাজার ৪০৪টি ভোট।

এ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম আতাউল হক দোলন ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নোঙ্গর প্রতীকের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এইচ এম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৮ ভোট। এ ছাড়া এ আসনে তৃণমূল বিএনপির আসলাম আল মেহেদী, জাতীয় পার্টির মো. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. শফিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ ইকরামুল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান জামানত হারাচ্ছেন।