দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা শ্রমিক দলের তিন নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে শেরপুর জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. আশরাফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কার হওয়া ওই তিন নেতা হলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঝিনাইগাতী উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মোল্লা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হোসেন আলী এবং ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. ফারুক মিয়া।
এ বিষয়ে আজ রোববার সকালে জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শ্রমিক দল–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মোল্লাকে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব করা হয়। কিন্তু এমদাদুল হক মোল্লা ও তাঁর সমর্থকেরা আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন। সেই সঙ্গে গত ৩১ অক্টোবর রাতে এমদাদুল হক মোল্লার সমর্থকেরা উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুর রহিম ও কাংশা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে মারধর করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার সকালে আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদকেও মারধর করেন এমদাদুল হক মোল্লার সমর্থকেরা। এদিন বিকেলে সদ্য বহিষ্কার হওয়া সদস্যসচিব এমদাদুল হক মোল্লার নেতৃত্বে উপজেলা সদরে ঝাড়ুমিছিল করা হয়। এসব কারণে ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব এমদাদুল হক মোল্লাসহ তিনজনকে বহিষ্কার করা হয় বলে দলীয় সূত্র জানায়।
তবে এমদাদুল হক মোল্লা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আজ দুপুরে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, শ্রমিক দলের জেলা কমিটি অগঠনতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে সংগঠনের উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করেছে। এর প্রতিবাদ করায় তাঁকে দল ও সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যা জেলা কমিটির এখতিয়ারবহির্ভুত। এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি বিস্তারিত জানাবেন।