ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ মনে করছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে।

আজ শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ আতাউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিষয়টি রাষ্ট্রবিরোধী, ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কর্মকাণ্ড। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও এলাকাবাসীর সঙ্গে ‘ছাত্রলীগের সমর্থক’ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনার জেরে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে সেনাসদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষের রাতেই কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটিকে মেয়াদোত্তীর্ণ উল্লেখ করে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে সংগঠনের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি এই সংঘর্ষের প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটনে কেন্দ্রীয় কমিটি দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এদিকে আজ রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী দেশের ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ১ম বর্ষ (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সব প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার আগের রাতে (২৪ অক্টোবর) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা নস্যাৎ করার লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে টাঙানো ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সহায়তা-সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা-সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা বানচাল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জাতির সামনে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছে বলে সিকৃবি প্রশাসন মনে করে। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এহেন রাষ্ট্রবিরোধী ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কাজের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদ্ধপরিকর।