জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবিরের শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবিরের শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ক্যাম্পাসে ফেরার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবিরের শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিলটি বের করা হয়। মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বটতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী কয়েক শিক্ষার্থী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশি হামলার মদদদাতা ছিলেন অধ্যাপক আলমগীর কবির। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটা মামলা করেন। ওই মামলার ২ নম্বর আসামি অধ্যাপক আলমগীর কবির। তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব হাসান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের শাবাব বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, যদি আপনারা হামলায় মদদদাতা শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে পুনর্বাসিত করতে চান, সাধারণ শিক্ষার্থীরা আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। সেই শিক্ষকেরা কোনো মব জাস্টিসের শিকার হলে তার দায়ভার কোনো শিক্ষার্থী কিংবা সংগঠন নেবে না। ওই মদদদাতা শিক্ষকদের আরও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আপনারা ক্যাম্পাসে আসার আগে আরও দুইবার ভাবুন। যদি আপনাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পায়, তাহলে আমরা কোনোভাবেই আপনাদের সহজভাবে নেব না।’

হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানিয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের হামলায় মদদদাতা সাবেক প্রক্টর ক্যাম্পাসে ফিরেছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। গতকাল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক প্রক্টরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত লজ্জার সঙ্গে বলতে হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে প্রশাসন স্বজনপ্রীতি দেখিয়ে তালবাহানা করে শিক্ষকদের বাচানোর চেষ্টা করছে।’

সমাবেশে গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুর রশিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখনো জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি ভুলে যায়নি। আমাদের জুলাই বিপ্লবের সহযোদ্ধা শিক্ষক-শিক্ষার্থী-সাংবাদিকেরা এখনো বিপ্লবের ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এখনো এসব হামলার বিচার না করে হামলাকারী ও হামলায় মদদদাতা শিক্ষকদের পুনর্বাসন করছে। যারা জুলাই আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত দ্রুত শেষ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’