দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন যাঁরা

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গতকাল মঙ্গলবার ১৫৬টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়ায় প্রায় সব উপজেলায় দলটির একাধিক নেতা প্রার্থী হন।

বেসরকারি ফলাফলে ১৫৬টি উপজেলার মধ্যে ১৩৯টিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের জেতারা জয় পেয়েছেন। বাকি ১৭টির ৭টিতে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা, ৫টিতে নির্দলীয় প্রার্থীরা এবং জাতীয় পার্টি (জাপা), জাতীয় পার্টি (জেপি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জনসংহতি সমিতি ও ইউপিডিএফের প্রার্থীরা একটি করে উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ঢাকায় দুটি বাদে সবাই আ.লীগ

দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলার ৩০টি উপজেলার ভোট গ্রহণ করা হয়েছে গতকাল। এর মধ্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বিএনপির সমর্থক এক নেতা একটি করে উপজেলায় জয় পেয়েছেন। বাকি ২৮টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ঢাকার সাভারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও ধামরাইয়ে জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য মো. আবদুল লতিফ বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোক্তার হোসেন ও মুকসুদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কাবির মিয়া জয় পেয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম, রূপগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান ও আড়াইহাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম আজাদ ও শ্রীপুরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামিল হাসান নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজবাড়ী সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম নওয়াব আলী, গোয়ালন্দে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী ও বালিয়াকান্দিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম নির্বাচিত হয়েছেন। মানিকগঞ্জের শিবালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুর রহিম খান, ঘিওরে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ও দৌলতপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জয় পেয়েছেন।

ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক কাজী শাহ্ জামান, সালথায় গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ মাতুব্বর ও মাদারীপুরের কালকিনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহীন নির্বাচিত হয়েছেন।

শরীয়তপুর সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান আকন্দ ও জাজিরায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজি। নরসিংদীর বেলাবতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. সমসের জামান ভূঁইয়া ও মনোহরদীতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পমন্ত্রীর ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন নির্বাচিত হয়েছেন।

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম সোয়েব ও টঙ্গিবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত জগলুল হালদারের ছেলে আরিফুল ইসলাম হালদার নির্বাচিত হয়েছেন। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান, নিকলীতে বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচিত মোকারিম সরদার ও অষ্টগ্রামে মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এ এফ এম মাসুক নাজিম জয়ী হয়েছেন।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নার্গিস বেগম, কালিহাতীতে কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এস এ এম সিদ্দিকী ও ঘাটাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আরিফ হোসেন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

চট্টগ্রামে আ.লীগ ২২, অন্যান্য ৫

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগের ১০টি উপজেলার ২৭টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি বাদে বাকি ২২টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে। ওই ৫টি উপজেলার মধ্যে বিএনপি ২টিতে, জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফ ও নির্দলীয় প্রার্থীরা ১টি করে উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছাইদুর রহমান ও আখাউড়ায় উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মনির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কুমিল্লা সদর দক্ষিণে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হাই ও বরুড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের শ্যালক হামিদ লতিফ ভূঁইয়া নির্বাচিত হয়েছেন।

চাঁদপুর সদরে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, শাহরাস্তিতে আওয়ামী লীগের নেতা মকবুল হোসেন পাটোয়ারী ও হাজীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজী নির্বাচিত হয়েছেন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাবুল, চাটখিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির ও সেনবাগে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল আলম জয় পেয়েছেন।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আরাফাত ও রায়পুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম চিশতি, হাটহাজারীতে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী, ফটিকছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী ও রাউজানে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এহেছানুল হায়দার চৌধুরী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, চকরিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী ও পেকুয়ায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মো. শাফায়েত আজিজ বিজয়ী হয়েছেন। খাগড়াছড়ি সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, দীঘিনালায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ধর্মজ্যোতি চাকমা ও পানছড়িতে ইউপিডিএফের চন্দ্র দেব চাকমা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন, বিলাইছড়িতে জনসংহতি সমিতির বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা ও রাজস্থলীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা জয়ী হয়েছেন। বান্দরবানের লামায় আওয়ামী লীগের মোস্তফা জামান ও নাইক্ষ্যংছড়িতে সাবেক বিএনপির নেতা তোফাইল আহমদ নির্বাচিত হয়েছেন।

খুলনায় একটি ছাড়া সব আ.লীগ

খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার ২৫টি উপজেলার গতকাল ভোট হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে একজন নির্দলীয় প্রার্থী ছাড়া বাকি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জয় পেয়েছেন।

মেহেরপুরের গাংনীতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, মিরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল হালিম, দৌলতপুরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ চৌধুরী ও কুমারখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান খান নির্বাচিত হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদরে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও আলমডাঙ্গায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম মঞ্জিলুর রহমান জয়ী হয়েছেন। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে আওয়ামী লীগের সমর্থক সাইফুল ইসলাম ওরফে টিপু মল্লিক ও শৈলকুপায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা আরিফ রেজা নির্বাচিত হয়েছেন।

যশোরের চৌগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান, ঝিকরগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ও শার্শায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। মাগুরার শালিখায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্যামল কুমার দে ও মহম্মদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান নির্বাচিত হন।

নড়াইল সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজুর রহমান ভূঁইয়া ও লোহাগড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ফয়জুল হক জয়ী হয়েছেন। বাগেরহাটের ফকিরহাটে উপজেলা যুবলীগের স্থগিত কমিটির আহ্বায়ক সেখ ওয়াহিদুজ্জামান, চিতলমারীতে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেন ও মোল্লাহাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুল আলম ছানা নির্বাচিত হয়েছেন।

খুলনার তেরখাদায় জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি আবুল হাসান শেখ, দিঘলিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শেখ মারুফুল ইসলাম ও ফুলতলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন জয় পেয়েছেন। সাতক্ষীরার তালায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার, দেবহাটায় নির্দলীয় মো. আল ফেরদাউস ও আশাশুনিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক এ বি এম মোস্তাকিম নির্বাচিত হয়েছেন।

বরিশালে আ.লীগ ১২, অন্যান্য ২

দ্বিতীয় ধাপে বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলার ১৪টি উপজেলায় ভোট হয়েছে গতকাল। এর মধ্যে বেসরকারি ফলাফলে নির্দলীয় ও জেপির একজন করে নেতা ছাড়া বাকি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জয় পেয়েছেন।

বরিশালের মুলাদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন ও হিজলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলতাফ মাহমুদ সিকদার বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পটুয়াখালীর দশমিনায় উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, গলাচিপায় উপ‌জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ওয়ানা মার্জিয়া ও বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোসারেফ হোসেন খান নির্বাচিত হয়েছেন।

পিরোজপুরের কাউখালীতে উপজেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) সাবেক সভাপতি মো. আবু সাঈদ মিঞা ও নেছারাবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। ভোলার বোরহানউদ্দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ, সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ মিয়া ও দৌলতখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. মনজুর আলম খান জয় পেয়েছেন।

ঝালকাঠি সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খান আরিফুর রহমান ও নলছিটিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন খান সেলিম নির্বাচিত হয়েছেন। বরগুনার বেতাগীতে উপ‌জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ও বরগুনা সদরে আওয়ামী লীগের নেতা মনিরুল ইসলাম বেসরকারিভা‌বে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

সিলেটে আ.লীগ ৭, বিএনপি ২

সিলেট বিভাগের ৪ জেলায় ১০টি উপজেলায় গতকাল ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি দুটিতে, নির্দলীয় প্রার্থী একটিতে ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাকি সাতটিতে জয় পেয়েছেন।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ, তাহিরপুরে বাদাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব উদ্দিন, বিশ্বম্ভরপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদার ও জামালগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন, জৈন্তাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী ও গোয়াইনঘাটে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম বিজয়ী হয়েছেন।

মৌলভীবাজারের রাজনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহজাহান খান, হবিগঞ্জের বাহুবলে নির্দলীয় প্রার্থী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও নবীগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন।

ময়মনসিংহে সবাই আ.লীগের

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ময়মনসিংহ বিভাগের ৪ জেলার ১১টি উপজেলায় ভোট হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে সব উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নির্বাচিত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ সদরে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ, মুক্তাগাছায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই আকন্দ ও গৌরীপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা জয়ী হয়েছেন।

জামালপুরের বকশীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, দেওয়ানগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ ও ইসলামপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আ. ছালাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উপ‌জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হো‌সেন ও নকলায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম মাহবুবুল আলম জয়ী হয়েছেন।

নেত্রকোনা সদরে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান খান, পূর্বধলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য এ টি এম ফয়জুর সিরাজ ও বারহাট্টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাখাওয়াত হোসেন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান জয় পেয়েছেন।

রাজশাহীতে আ.লীগ ১৭, অন্যান্য ২

রাজশাহী বিভাগের ৮টি জেলার ১৯টি উপজেলায় গতকাল নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ২টি বাদে বাকি ১৭টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতারা জিতেছেন।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিনা মির্জা ও তাড়াশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. মনিরুজ্জামান বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জয়পুরহাট সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান ও পাঁচবিবিতে নির্দলীয় প্রার্থী সাবেকুন নাহার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

নাটোরের লালপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ ও বাগাতিপাড়ায় উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রাজশাহীর পুঠিয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সামাদ মোল্লা, বাগমারায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম ও দুর্গাপুরে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ জয় পেয়েছেন।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আহম্মেদুর রহমান, আদমদীঘিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান, কাহালুতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আল হাসিবুল হাসান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

নওগাঁর সাপাহারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহজাহান মণ্ডল, পোরশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী ও নিয়ামতপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। পাবনার চাটমোহরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা রেজাউল করিম, ভাঙ্গুরায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনায়েন ও ফরিদপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খলিলুর রহমান সরকার জয় পেয়েছেন।

রংপুরে আ.লীগ ১৯, অন্যান্য ২

রাজশাহী বিভাগের মতো রংপুর বিভাগে গতকাল ৮টি উপজেলার ২১টি উপজেলায় ভোট হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও জাপা একটি করে উপজেলায় জয় পেয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতারা নির্বাচিত হয়েছেন।

পঞ্চগড়ের বোদায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম ও দেবীগঞ্জে শালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি (বহিস্কৃত) মদন মোহন রায় নির্বাচিত হন। ঠাকুরগাঁও সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার ও রানীশংকৈলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন জয়ী হয়েছেন।

নীলফামারীর সৈয়দপুরে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ আরফান সরকার, কিশোরগঞ্জে উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব মো. রশিদুল ইসলাম ও জলঢাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনছার আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দিনাজপুরের বিরলে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, কাহারোলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম ফারুক, বীরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু হুসাইন ও বোচাগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী নির্বাচিত হয়েছেন।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও আদিতমারীতে জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা শামসুল ইসলামের ছেলে ফারুক ইমরুল নির্বাচিত হন। রংপুরের মিঠাপুকুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুজ্জামান ও পীরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নূর মোহাম্মদ মণ্ডল জয়ী হয়েছেন।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী, উলিপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজাদুর রহমান তালুকদার ও কুড়িগ্রাম সদরে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আলম, পলাশবাড়ীতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ কে এম মোকসেদ চৌধুরী ও সদরে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর জামান জয় পেয়েছেন।