লাশ
লাশ

নাটোরে অস্ত্রোপচারে শিশুর মৃত্যু, পল্লিচিকিৎসক ও তাঁর বাবা গ্রেপ্তার

নাটোরে অস্ত্রোপচার করার সময় ৯ মাসের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে এক পল্লিচিকিৎসক ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নাটোর শহরের পশ্চিম বাইপাস এলাকার রেনু ফার্মেসি নামের একটি ওষুধের দোকানে শিশুটি মারা যায়।

চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে পল্লিচিকিৎসক হাবিবুর রহমান ও তাঁর বাবা ওষুধের দোকানটির মালিক হাছেন আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মৃত শিশুটির নাম আসিফ হোসেন। সে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার দমদমা গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল ইসলামের ছেলে।

আসাদুল ইসলাম বলেন, তাঁর ছেলে আসিফ তিন মাস থেকে অসুস্থ। মাথাব্যথার কারণে সব সময় কান্নাকাটি করত। দারিদ্র্যের কারণে তাঁরা ছেলের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেননি। এক প্রতিবেশীর পরামর্শে তাঁরা পল্লিচিকিৎসক হাবিবুর রহমানের কাছে নিয়ে আসেন। পল্লিচিকিৎসক জানান, ছেলের মাথায় টিউমার হয়েছে। অস্ত্রোপচার করে টিউমার ফেলে দিয়ে ছেলেকে সুস্থ করতে পারবেন। তাঁর কথায় রাজি হলে হাবিবুর রহমান অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে ছেলেকে মেরে ফেলেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পল্লিচিকিৎসক হাবিবুর রহমানের পরামর্শে শিশু আসিফ হোসেনকে গতকাল সকালে নাটোর শহরের বাইপাস এলাকার রেনু ফার্মেসিতে নিয়ে আসেন তার মা–বাবা। দুপুরে ফার্মেসির একটি কক্ষে শিশুটির অস্ত্রোপচার শুরু করেন হাবিবুর রহমান। দীর্ঘ সময় পর তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে শিশুটির মা-বাবাকে জানান, অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে, শিশুটি ঘুমাচ্ছে। তাঁর কথায় সন্দেহ হলে মা-বাবা ভেতরে ঢুকে দেখেন তাঁদের ছেলে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তাঁরা চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পল্লিচিকিৎসক হাবিবুর রহমান ও তাঁর বাবা ওষুধের দোকানটির মালিক হাছেন আলীকে আটক করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও সদর থানার পুলিশের সদস্য এসে তাঁদের থানায় নিয়ে যান।

এ ঘটনায় বুধবার রাতেই শিশুটির বাবা আসাদুল ইসলাম বাদী হয়ে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে পল্লিচিকিৎসক হাবিবুর রহমান ও তাঁর বাবা ওষুধের দোকানের মালিক হাছেন আলীর নামে নাটোর সদর থানায় মামলা করেন।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, মামলায় কথিত চিকিৎসক ও তাঁর বাবাকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।