ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় মানববন্ধন

ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে চারজন মারা যাওয়ার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আন্তনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দেওয়া দুর্বৃত্তদের আগুনে চারজন মারা যাওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পৌরসভা কার্যালয়ের সামনের সড়কে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ এমরানের সঞ্চালনায় ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান, জেলা সুজনের সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল, জেলা উদীচীর সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, বর্তমান সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি পূরবী কুণ্ডু, শিকড় উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খান, কলেজশিক্ষক মো. আবদুল কাইয়ুম, নারী প্রগতী সংঘের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মৃণাল কান্তি চক্রবর্তী, প্রত্যাশা সাহিত্য গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় তালুকদার, ছড়াকার সঞ্জয় সরকার প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রেল যোগাযোগব্যবস্থায় পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতেই পারে, কিন্তু সহিংসতা করতে পারে না। যারা রেলে আগুন দিয়ে শিশুসহ চারজনকে হত্যা করেছে, তাদের কোনো ক্ষমা নেই। শক্ত হাতে এদের প্রতিহত করতে হবে। মানুষকে পুড়িয়ে মারার কোনো অধিকার নেই তাদের। এরা মানুষ নামের কলঙ্ক।’

গতকাল মঙ্গলবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রেনটির তিনটি বগি পুড়ে যায়। একটি বগি থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। যাঁদের পরিচয় পাওয়া গেছে, তাঁরা হলেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার বরুনা গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী নাদিরা আক্তার ওরফে পপি (৩২), তাঁর তিন বছর বয়সী ছেলে ইয়াসিন এবং জেলা শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা বিএনপি নেতা আবদুর রশিদ ঢালী।