চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৪০০ জন নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় হাঁটা ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৪০০ জন নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় হাঁটা ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

৪০০ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে চাঁদপুরে হাঁটা ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো ৪০০ জন নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে হাঁটা ম্যারাথন (ওয়াকাথন) প্রতিযোগিতা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

‘সুস্থ দেহ সুস্থ মন, হাঁটব আমি যতক্ষণ’ এই স্লোগানে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শহরের ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠন ‘চলেন হাঁটি’। শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ও পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুর রকিব।

প্রতিযোগিতায় বয়সভিত্তিক অংশগ্রহণকারী নারী ও পুরুষের ৪টি দল অংশগ্রহণ করেন। ১৫-৪৫ এবং ৪৬ থেকে ৭৫ বছর বয়সী পুরুষের দুটি দল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে ৬ কিলোমিটার হাঁটেন। একই বয়সী নারীদের দুটি দল শহরের ৩ কিলোমিটার সড়ক হেঁটে কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ করেন।

হাঁটা শেষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সদস্যসহ অন্যদের জন্য বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রধান করেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের চিকিৎসকেরা। এ সময় বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়।

কলেজ ক্যাম্পাসেই আয়োজন করা হয় প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। এতে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আবদুল মান্নান। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আলম পলাশের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সুস্থ থাকার জন্য হাঁটা যেমন প্রয়োজন, তেমনি মনকে ভালো রাখার জন্য ভালো পরিবেশে আসতে হবে। নানা কাজ শেষে সকালে যখন হাঁটবেন এবং সবার সঙ্গে দেখা হবে, তখন নিজের নানা বিষয়ে কথা হলে মন হালকা হবে এবং ধীরে ধীরে মন সুস্থ হতে থাকবে। হাঁটার জন্য যখন সকলে একত্রিত হবেন তখন নিজেদের মধ্যে একটি সামাজিক বন্ধন তৈরি হবে। এটিও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুর রকিব, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল ও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুবুর রহমান। প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করেন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এন এম খান মুরাদ। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ৪টি দলের ৩ জন করে ১২ জন বিজয়ীকে সনদ, মেডেল ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।