তৃতীয় ধাপে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ বুধবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী ইফতারুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ব্যালটে তাঁর বরাদ্দ দেওয়া ‘কাঠি আইসক্রিম’ প্রতীক নেই। এর বদলে সেখানে ‘কুলফি আইসক্রিম’ দেওয়া হয়েছে। তিনি ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন; ব্যালটে নির্ধারিত প্রতীক না থাকায় ভোট দেননি।
বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। এই পদের প্রার্থী ইফতারুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
ইফতারুল ইসলাম আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত কাগজে “কাঠি আইসক্রিমের” নমুনা ছবি সরবরাহ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী পোস্টার ছাপানোসহ প্রচারণা চালিয়েছি। এখন ভোট দিতে গিয়ে ভোটাররা ব্যালট পেপারে কাঠি আইসক্রিম খুঁজে পাচ্ছেন না। কাঠি আইসক্রিমের ছবির সঙ্গে কুলফি আইসক্রিমের মিল নেই। এ জন্য আমি কেন্দ্রে গিয়েও ভোট দিইনি। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিক অভিযোগ করেছি। এটা আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এ বিষয়ে আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।’
জানতে চাইলে বগুড়ার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদ বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২টি প্রতীক পূবনির্ধারিত ছিল। কিন্তু বগুড়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন প্রার্থী। অতিরিক্ত চারজনের প্রতীকের কথা উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে ভুলক্রমে কাঠি আইসক্রিমের বদলে কুলফি আইসক্রিমের ছবিসহ ব্যালট সরবরাহ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ায় এ বিষয়ে আর কিছুই করার নেই।
এখানে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান (সফিক), বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান (রনি) ও জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার (লিটন)।