রাজশাহী বিভাগের ৪৫টি নদীর মধ্যে ২১টি দখল-দূষণে সংকটাপন্ন। আজ সোমবার বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় নদীগুলো সংরক্ষণের দাবি জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে একটি রেস্তোরাঁয় এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন লেখক ও নদী–গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী। প্রবন্ধ উপস্থাপন ও স্বাগত বক্তব্য দেন বেলার রাজশাহী কার্যালয়ের সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কবীর হোসেন, বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব এস এম মিজানুর রহমান, স্থানীয় দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক আকবারুল হাসান, বাপার কেন্দ্রীয় সদস্য আফজাল হোসেন।
আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সেখানে নদীগুলোকে বাঁচাতে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিভাগে ৪৫টি নদী রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২১টি নদী বেশি সংকটাপন্ন। এই নদীগুলো দ্রুত সংরক্ষণ না করা হলে অস্তিত্বসংকটে পড়বে। এসব নদী দখল ও দূষণে পরিণত হয়েছে। এসব নদীপাড়ে বিভিন্ন ব্যবসায়িক কারখানা–প্রতিষ্ঠান বর্জ্য ফেলে নষ্ট করছে। অনেকে নদী দখল করে বসতিসহ নানা স্থাপনা করেছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নদীতে বাধ দেওয়া হয়েছে। স্লুইসগেট, রাবার ড্যামের মতো স্থাপনা করে নদীগুলোকে হত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
নদী–গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, নদীতে রাবার ড্যাম তৈরি করা মানে নদী হত্যার শেষ পেরেক। পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীগুলোকে হত্যা করছে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে কোনো বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। এসব রাবার ড্যাম করা হলে নদীর উজান ও ভাটি দুই দিকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।