অতিথি আপ্যায়নের সাড়ে তিন লাখ টাকার মালামাল চেয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক কামালের চিঠি দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের এ কমিটি করে দেওয়া হয়।
কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। কমিটির সদস্যরা হলেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামছুল হক ও মো. খলিলুর রহমান এবং পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম মুরাদ আলী জানান, তিন সদস্যের এ কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলার অলিপুরে অবস্থিত প্রাণ-আরএফএলের হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-প্রশাসন) বরাবর ১০ অক্টোবর এ চিঠি দেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক। ওসির দেওয়া চিঠিতে লেখা ছিল, আসন্ন দুর্গাপূজা অসাম্প্রদায়িকভাবে ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে তিনি (ওসি) স্থানীয় পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতাদের, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা করতে চান। এ সভার অতিথিদের আপ্যায়ন করাতে ৩০০ প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানি, ৩০ কেজি জিলাপি, ৩০ কেজি মিষ্টি, ৩০০ প্যাকেট দই ও ৫০০ বোতল পানি প্রয়োজন। এ বাবদ এক লাখ টাকার মালামাল সরবরাহের কথা বলেন ওসি।
চিঠিতে আরও লেখা হয়, ২৮ অক্টোবর সারা দেশে কমিউনিটি পুলিশিং ডে। এ উপলক্ষে তাঁরা শায়েস্তাগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে এক সুধী সমাবেশ করতে চান। এ সমাবেশের জন্য ৫০০ প্যাকেট কাচ্চি বিরিয়ানি এবং মিষ্টি ও দইয়ের আয়োজন করা হবে। এ সঙ্গে অনুষ্ঠানের ব্যানার-ফেস্টুন, মাইকিং, ফিল্ড ক্যাপসহ বিভিন্ন সামগ্রী দরকার। এ জন্য তাঁদের আরও আড়াই লাখ টাকার মালামাল দরকার। এ দুই অনুষ্ঠানের মোট খরচ সাড়ে তিন লাখ টাকার মালামাল চেয়ে ওসির স্বাক্ষরিত চিঠিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ না করা হলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পারেন।
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার প্রথম আলো অনলাইনে ‘অতিথি আপ্যায়নের সাড়ে তিন লাখ টাকার মালামাল চেয়ে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ওসির চিঠি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।