শাহজাহান মিয়া
শাহজাহান মিয়া

ঈদের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পূর্ববিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরও চারজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের উজান চরনওপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত শাহজাহান মিয়া (২০) ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য এক প্রার্থীর পোস্টার টানানোকে কেন্দ্র করে উজান চরনওপাড়া গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর জের ধরে গতকাল বুধবার রাতে লাল মিয়ার ছেলে নিশাদসহ (১৫) চার-পাঁচজনকে মারধর প্রতিপক্ষের লোকজন। এদিকে ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসেন মারধরের শিকার নিশাদের চাচাতো ভাই শাহজাহান মিয়া। তিনি মারধর করার কারণ জানতে চেয়েছিলেন গ্রামের মানিক মিয়া ও হাদী মিয়ার কাছে। এতে তাঁরা আরও ক্ষুব্ধ হন।

নিহত শাহজাহানের চাচা আবদুল আজিজ অভিযোগ করেন, তাঁর ভাতিজা শাহজাহান মারধর করার প্রতিবাদ করেছিলেন। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন রশিদ মাস্টারের দুই ছেলে ও তাঁদের পক্ষের লোকজন। আজ স্থানীয় উজানচর ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজে যান শাহজাহান। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রশিদ মাস্টারের ছেলেরা তাঁর ওপর হামলা চালান। শাহজাহানকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন আরও চারজন। রক্তাক্ত অবস্থায় শাহজাহানকে ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে শাহজাহানের মৃত্যুর সংবাদ গ্রামে পৌঁছার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। ফলে তাঁদের ভাষ্য পাওয়া যায়নি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) সুমন মিয়া। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তুচ্ছ ঘটনার ধরে শাহজাহানের ওপর হামলা করা হয়েছে। তবে এর নেপথ্যে আরও কিছু রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।