বরিশালের গৌরনদীতে চার কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই চার কিশোরীকে উদ্ধার করে গৌরনদী মডেল থানার পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার তরুণেরা হলেন গৌরনদীর মাহিলাড়া ইউনিয়নের বাঘার গ্রামের নগেন দেওয়ানের ছেলে হৃদয় দেওয়ান (১৯) এবং তাঁর সহযোগী বাটাজোর ইউনিয়নের জয়শুরকাঠি গ্রামের সুশান্ত মণ্ডলের ছেলে তূর্য মণ্ডল (১৯)। হৃদয় মামলার প্রধান আসামি, তিনি বরিশাল সরকারি হাতেম আলী কলেজের ছাত্র।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন জানান, গত বুধবার একসঙ্গে চার কিশোরী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। এক কিশোরীর পালক বাবা ও মাকে নিখোঁজ তিন স্কুলছাত্রীর অভিভাবকেরা পাচারকারী সন্দেহে আটক করে ওই দিন রাত ১২টার দিকে গৌরনদী মডেল থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল শহর থেকে নিখোঁজ তিন ছাত্রীসহ চার কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় হৃদয় দেওয়ান ও তূর্য মণ্ডলকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় নিখোঁজ এক স্কুলছাত্রীর বাবা বৃহস্পতিবার রাতে অপহরণের অভিযোগে থানায় মামলা করেন। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তাঁর মেয়েসহ চার কিশোরীকে হৃদয় দেওয়ান, তূর্য মণ্ডল ও তাঁদের দুই-তিনজন সহযোগী অপহরণ করে তিন চাকার যান মাহিন্দ্রযোগে নিয়ে যান।
ওসি আরও জানান, উদ্ধার কিশোরীদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তার কলেজছাত্র হৃদয় দেওয়ান ও তাঁর সহযোগী তূর্য মণ্ডলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।