আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত যেটা খুব ভালো পারে, সেটা হচ্ছে ষড়যন্ত্র। তারা কিন্তু ষড়যন্ত্র করছে। যদি শেখ হাসিনা না থাকে, আমরা না থাকি, আপনাদের বলতে পারি, আওয়ামী লীগের তৃণমূলও রক্ষা পাবে না। সেই জন্য আপনাদের বলছি, ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য। আমাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি থাকতে পারে। তাদের ষড়যন্ত্রের কথা মনে রেখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী হতে হবে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল হক এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানও কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। জাতির পিতাকে কিছু ষড়যন্ত্রকারী, কিছু বেইমান হত্যা করেছে। জাতির পিতাকে হত্যা করার পর তৃণমূলের কারণে আওয়ামী লীগ টিকে গেছে। আপনাদের শক্তির কারণেই আপনাদের নেতৃত্ব দিতেই কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। শেখ হাসিনা দেশকে বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন। যখন পদ্মা সেতু বানানোর জন্য বিশ্বব্যাংক টাকা দেয়নি, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের টাকায় এই পদ্মা সেতু বানাবেন, তিনি বানিয়েছেন। শেখ হাসিনা কথা রেখেছেন। করোনা মহামারির সময়ে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ার প্রথম দিকেই বাংলাদেশের জনগণকে বিনা পয়সায় টিকা দিয়েছেন।’
এই সভায় সভাপতিত্ব করেন গোপীনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদির ভূঁইয়া। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ও গোপীনাথপুর ইউপির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. আজহারুল ইসলাম ও মো. আনিছুল হক ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম এ আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো. ফরিদ মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা জলিল সরকার, গোলাম মোস্তফা লিটন, আবুল কালাম আজাদ, সৈয়দ মাহবুব হাসান রুবেল, আবু আক্কাছ প্রমুখ।
এর আগে আইনমন্ত্রী ঢাকা থেকে আন্তনগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আখাউড়ায় এসে পৌঁছান। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।