জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যালয়ের মধ্যে এক সদস্যকে পেটানোর মামলায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোরে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার উপজেলার ডোয়াইল ইউপি সচিবের কক্ষে বসে ছিলেন দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল হক। এ সময় উপজেলা যুবলীগের সদস্য মামুন মিয়া ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য উদ্যোক্তা ইমরানের সঙ্গে জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। ইউপি সদস্য রেজাউল হক বিষয়টির প্রতিবাদ করলে যুবলীগ নেতা মামুন তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন রেজাউল হককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পরিষদের কক্ষে মারধরের ভিডিও বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আহত ইউপি সদস্য রেজাউল হক বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার যুবলীগ নেতা মামুন মিয়াকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিব্বির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মামুনকে প্রযুক্তির সহযোগিতায় ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য রেজাউল হক বলেন, ‘মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তার করায় খুব ভালো লাগতাছে। আমাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমি মামুনের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।’
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, সেই যুবলীগ নেতা মামুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামুনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে বলে জানান ওসি।