যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ আট নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের আবাসিক হলে শাহরীন রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানাসহ আট নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাহরীন বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় এই মামলা করেন।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী ইসাদ হোসেন, শাহীনুর ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আশিকুজ্জামান লিমন, একই বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী বিপুল হাসান, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের রায়হান রহমান রাব্বি। তাঁদের সবাই ছাত্রলীগের কর্মী এবং সোহেল রানার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার আসামিরা পলাতক। তাঁদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মামলার আট আসামির মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতন ও মারধরের আগের একটি মামলা রয়েছে। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা ১৭ জন প্রার্থীকে অপহরণ করে মারধর ও নাজেহাল করা হয়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী এক প্রার্থী কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় শাহীনুর ইসলাম, বেলাল হোসেন ও রায়হান রহমান রাব্বি আসামি। এ ছাড়া ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অস্ত্র, গুলিসহ আটক হওয়ায় ইসাদ হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটি ইসাদ হোসেনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করে।

গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার কক্ষে শাহরীন রহমানকে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। শাহরীন রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং ওই হলের আবাসিক ছাত্র। রাতভর নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শাহরীন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিও কাজ করছে।