গভীর রাতে বাসাবাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মোটরসাইকেল। তারপর মালিকের কাছে দাবি করা হয় মোটরসাইকেলের মুক্তিপণ। টাকা দিলে আশপাশের পুকুর থেকে মোটরসাইকেলটি পাওয়া যায়। বান্দরবান জেলা শহরে এমন অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরির পর চাঁদা দাবি করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরেও বান্দরবান জেলা শহরের দেওয়ানজী পুকুরপাড় থেকে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে এভাবে পুকুর থেকে পাওয়া গেছে তিনটি চুরি হওয়া মোটরসাইকেল।
চুরি যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের মালিক আবু সাইফ বলেন, তাঁর বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বাড়ির ফটকের তালা ভেঙে চোরেরা ঢোকে। বাড়ির সব কটি দরজা বাইরের থেকে আটকে দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে তারা চলে যায়। সকালে চোরদের দাবি অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়েছেন। এরপর চোরেরা জানায়, মোটরসাইকেলটি দেওয়ানজী পুকুরের দ্বিতীয় ঘাটের পানিতে রয়েছে। পরে তাদের নির্দেশিত স্থানে তল্লাশি চালিয়ে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
শহরের মেম্বারপাড়ার শাওন চৌধুরীর জানান, গত শনিবার রাতে তাঁর মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। চোরেরা ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দেওয়ার পর তাদের কথামতো চন্দনাইশের দোহাজারী সেতু এলাকায় গাড়িটি পাওয়া যায়। এভাবে উপজেলার পুকুর ও রাজার পুকুর থেকে আরও দুটি মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে পাঁচটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পুকুর থেকে ও একটি চন্দনাইশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল চুরি হওয়া সরকারি সংস্থার আরেকটি মোটরসাইকেল এখনো পাওয়া যায়নি।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ জানান, ‘গত এক সপ্তাহে একই কায়দায় এই চক্রের সদস্যরা পাঁচটি মোটরসাইকেল চুরি করেছে। চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। চুরি করে চাঁদা আদায়ের চক্রটিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’