কুষ্টিয়া–৪ আসন

আচরণবিধি ভেঙে গাড়িবহর নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্যকে বরণ, শোডাউন

আচরণবিধি ভেঙে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফের শোডাউন। বুধবার দুপুরে খোকসা থানা সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়া–৪ (কুমারখালী–খোকসা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুর রউফ দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দল বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জকে মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার তিনি নির্বাচনী এলাকায় ফিরলে আচরণবিধি ভেঙে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন হাজারো নেতা–কর্মী। পরে গাড়িবহর নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় শোডাউন দেন তিনি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ৮ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো রাজনৈতিক নিবন্ধিত দল বা দল মনোনীত ব্যক্তি বা স্বতন্ত্র কিংবা তাঁদের পক্ষে কোনো ব্যক্তি ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহনে মিছিল কিংবা মশালমিছিল বের করতে কিংবা শোডাউন করতে পারবেন না।’

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে ঢাকায় ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রউফ। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ দুপুরে ঢাকা থেকে খোকসা ও কুমারখালী নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছালে কয়েক হাজার নেতা–কর্মী মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর নিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন। এ সময় তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সেলিম আলতাফ জর্জকে বরণ করে নিয়েছিলেন নেতা–কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আবদুর রউফ কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের খোকসার বিলজানি বাজার থেকে গাড়িবহরে যোগ দেন। বহরটি খোকসা ও কুমারখালী উপজেলা শহর প্রদক্ষিণ করে নিজবাড়ি বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রামে গিয়ে শেষ হয়। খোকসা ও কুমারখালীতে পথে থেমে নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে আবদুর রউফ বলেন, দল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় কোনো বাধা না থাকায় তিনি জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জিতবেন।

কুষ্টিয়ায় আচরণবিধি ভেঙে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ বিশাল গাড়িবহর নিয়ে সেতু পার হচ্ছেন। বুধবার দুপুরে কুমারখালীর গোলাম কিবরিয়া সেতুতে

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গাড়িবহরে শোডাউনের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতা আবদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এখনো মনোনয়নপত্র জমা দিইনি। তাই আমি এখনো প্রার্থী না। আমার মনে হয়, আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। প্রার্থী হলে তখন আচারণবিধি ভঙ্গ হবে। আর আমি তো প্রত্যাহারও করতে পারি।’

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কুমারখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাত বলেন, প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। কেউ কোনো অভিযোগও করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।