আজিমনগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র

লোকবলের অভাবে আট বছর ধরে বন্ধ, দুর্ভোগ 

এটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। জনবল না থাকায় এটি ২০১৫ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুটি ভবন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে
ছবি: প্রথম আলো

জনবলসংকটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি আট বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে এই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দ্রুত চালু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ঢাকা-ভাঙ্গা বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের পুলিয়া বাজার থেকে পুলিয়া-পাতরাইল আঞ্চলিক সড়কের দক্ষিণ দিকে আড়াই কিলোমিটার দূরে শিমুলবাজার। এ বাজার পার হয়ে ওই সড়কসংলগ্ন আজিমনগর ইউনিয়নের উথুলি পাথরাইল গ্রামে আজিমনগর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রায় এক একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয়েছে এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। এখানে একতলাবিশিষ্ট দুটি ভবন রয়েছে। সামনের ভবনটি বড়, সেখানে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হতো। তার পেছনের ছোট ভবনে দুজন চিকিৎসা কর্মকর্তার পরিবারের আবাসন সুবিধা রয়েছে।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুটি ভবনের সামনে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ভবনগুলোর দেয়ালে শেওলা পড়ে আছে। ভবনের আসবাব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৭ সালে নেদারল্যান্ডসের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় এ হাসপাতালটি নির্মিত হয়। সরকার ওই হাসপাতালে চিকিৎসকসহ জনবল নিয়োগ দেয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসকসহ যাঁরা চাকরি করতেন, তাঁরা অবসরে যাওয়ায় ও প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে এলাকাবাসীর দাবির মুখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চাকলাদার তাজুল ইসলাম নামের এক উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে সপ্তাহে একদিনের জন্য ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র রোগী দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি ২০১৫ সালে অবসরে যাওয়ায় চিকিৎসাকেন্দ্রটিতে নতুন চিকিৎসক পাঠানো সম্ভব হয়নি। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতি দিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা পেতেন। এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁদের ২৩ কিলোমিটার দূরে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এতে অর্থের পাশাপাশি সময়ের অপচয় হচ্ছে। 

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা প্রাণেশ চন্দ্রপতি বলেন, গত ২৯ মে উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। ওই সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। সংসদ সদস্য উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।