গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে চার প্রার্থীর ভোট বর্জন

কেন্দ্রগুলোতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আজ সকালে সাঘাটা উপজেলার বারকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে একযোগে চার প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এর আগে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনিয়মের অভিযোগে ৪৪টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান ভোটের মাঠে আছেন।

সাঘাটা উপজেলার বগেরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চারজন প্রার্থী একযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোট বর্জন করা প্রার্থীরা হলেন—জাতীয় পার্টি সমর্থিত এ এইচ এম গোলাম শহীদ, বিকল্পধারার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাহিদুজ্জামান ও মাহবুবুর রহমান। এই উপনির্বাচনে মোট পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে এখনো মাঠে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান।

এর আগে দুপুরে ঢাকার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে তিনি ব্যাপক অনিয়ম দেখেছেন। যেখানে অনিয়ম বেশি, সেখানে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে তিনটি। এরপর ক্রমাগতভাবে মোট ৪৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান বলেন, তাঁর কোনো কর্মী-সমর্থক অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেননি এবং বাধাও দেননি।

আজ সকাল আটটা থেকে গাইবান্ধা-৫ আসনের ১৪৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়

আজ সকাল ৮টায় সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৪৫টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। জাতীয় পার্টি–সমর্থিত প্রার্থী এ এইচ এম গোলাম শহীদ প্রথম আলোকে বলেন, ভোটকেন্দ্র থেকে জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয় এবং তাঁদের কর্মী–সমর্থকদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হয়। তাই একযোগে তাঁরা চার প্রার্থী ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।