শরীয়তপুরের নড়িয়ায় যুবদলের সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখল ও চাঁদা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার ঘরিসার ইউনিয়নের বাহেরকুশিয়া কুন্ডুবাড়ি এলাকার লোকজন নিয়ে ওই জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন মালিক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে ৮ একরের ওই জমিতে আলোক রানী কুন্ডুর পরিবার বসবাস করতেন। ২০১০ সালে জমিটি আলোক রানী ও তাঁর ছেলেরা নাজির খান নামের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। এরপর নাজির খান সেখান থেকে কয়েকজনের কাছে জমিটির বিভিন্ন অংশ বিক্রি করেন। সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট যুবদল নেতা রনি মাঝি সেখানে গিয়ে অন্তত ৮ ব্যক্তিকে ওই জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। একই সঙ্গে তাঁদের কাছে চাঁদাও দাবি করেন।
নাজির হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই জমির মালিক আলোক রানী কুন্ডুর বয়স হয়ে যাওয়ায় এবং তাঁর ছেলেরা ঢাকাসহ দেশের বাইরে অবস্থান করায় সেটি বিক্রি করে দেন। তখন আমি বাড়িটি ক্রয় করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী বিভিন্ন ধরনের অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে রনি মাঝি নামের এক যুবদল নেতা আমার ওই জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দখল করেছেন। সেখানে আমার একটি অফিস দখল করা হয়েছে। যাঁরা সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে চাঁদাও চাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছি।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রনি মাঝি। তিনি বলেন, ‘ওই জমি আমার দাদা কিনেছিলেন। ওই বাড়িতে আমরা বসবাসও করতাম। আলোক রানী কুন্ডু ও তাঁর ছেলেরা তা অন্যায়ভাবে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। নাজির খান জমিটি কেনার পর আমাদের উচ্ছেদ করেন। এখন সময় এসেছে তাই আমি দখলে নিয়েছি। ওই জমিতে যারা ইতিমধ্যে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছেন তাঁদের বলেছি, আমার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান টানতে। আর আমি কারও কাছে চাঁদা চাইনি বা হুমকি দিইনি।’
রনি মাঝির জমি দখলের বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।