বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আহসান কবির ওরফে শরিফ গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করে আরও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে আহসান কবিরের বাবা হুমায়ুন কবির মাস্টার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি করেন। আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীর খসরু। এ নিয়ে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৪টি হত্যাসহ মোট ১৬টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি হত্যাসহ ১৪ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ২১ জুলাই বেলা তিনটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় পিডিকে পাম্পের সামনে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগ ও অন্য সংগঠনের নেতা–কর্মীরা নিপীড়ন ও নির্যাতন শুরু করেন। তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র, বন্দুক, রড, রামদা নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন এবং আক্রমণ করেন। এতে আহসান কবির বুকে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে সানারপাড় ইস্ট ভিউ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আসামিদের চাপে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত ব্যক্তির মরদেহ স্থানীয় শুক্কুরসী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ওই দিন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।