নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে এক তরুণ আরেক তরুণকে খুন করেছেন। নিহত তরুণের নাম জাহিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় মীর হোসেন (২০) নামের আরও একজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কামলারটেক নামের স্থানে হাশেমের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মো. রিয়াজ (২০) নামের এক তরুণকে পুলিশ আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, নিহত জাহিদুল ইসলাম (২০) উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম কুতুবপুর গ্রামের হারুনুর রশীদের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি ব্যাগ তৈরির কারখানায় চাকরি করতেন।
ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত মো. রিয়াজকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। রিয়াজ একই গ্রামের আলাবক্স ব্যাপারীবাড়ির মহিউদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত জাহিদুল ইসলাম ও অভিযুক্ত রিয়াজ উভয়ই প্রতিবেশী। জাহিদুল ঈদ উপলক্ষে কয়েক দিন আগে গ্রামের বাড়িতে আসেন। গতকাল সন্ধ্যায় জাহিদুল স্থানীয় একটি চায়ের দোকানের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় রিয়াজ সেখানে এলে তাঁকে নাম ধরে ডাক দেন জাহিদুল। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে রিয়াজ জাহিদুলের বুকের নিচে ছুরিকাঘাত করেনয়াজ। এতে ঘটনাস্থলেই জাহিদুলের মৃত্যু হয়। এ সময় জাহিদুলকে রক্ষা করতে গিয়ে তাঁর বন্ধু মীর হোসেনও রিয়াজের ছুরিকাঘাতের শিকার হন। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত জাহিদুল ও অভিযুক্ত রিয়াজের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তাঁদের পাশাপাশি বাড়ি। ঘটনাস্থলে তাঁরা আড্ডা দিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে নাম ধরে ডাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে জাহিদুলকে ছুরিকাঘাত করেন রিয়াজ। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। জাহিদুলের লাশ উদ্ধার করে আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।