বরিশাল সিটি নির্বাচন

ছয় মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, চারজনের বাতিল

নির্বাচন কমিশন
ফাইল ছবি

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যাচাই-বাছাই শেষে মেয়র পদে চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির। বাছাইয়ে ছয়জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের নথুল্লাবাদ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র বাছাই শুরু হয়। প্রথমে মেয়র এবং এরপর সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের মনোনয়ন বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মেয়র পদে যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রার্থিতার সপক্ষে ৩০০ ভোটারের সমর্থনের যে তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে অমিল থাকা, হলফনামা যথাযথ না হওয়া এবং ফরম পূরণ পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মনোনয়ন বৈধ হওয়া ছয় প্রার্থী হলেন—আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত, জাতীয় পার্টির মো. ইকবাল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান, স্বতন্ত্র কামরুল আহসান ওরফে রুপণ ও আলী হোসেন। তাঁদের মধ্যে কামরুল আহসান ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য। তিনি বরিশালের প্রয়াত মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে। আহসান হাবিব বরিশাল নগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী–বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

মেয়র পদে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—লুৎফুল কবির, সৈয়দ এসাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, মো. আসাদুজ্জামান ও নেছার উদ্দিন। তাঁদের মধ্যে সৈয়দ এসাহাক ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থীর ভাই। তিনি দলটির জেলা কমিটির সভাপতি। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে তাঁকে ‘প্রক্সি প্রার্থী’ করা হয়েছিল। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পাঁচ সিটি নির্বাচনের সমন্বয়ক আশরাফ আলী আকন প্রথম আলোকে বলেন, সৈয়দ এসাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়েরের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তাঁর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করার বিষয়ে দলীয় সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ মে ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৯ থেকে ২১ মে বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল, ২২ থেকে ২৪ মে আপিল নিষ্পত্তি, ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থিরা।