নাটোরে ২০১৫ সালের দুই যুবক হত্যা মামলা থেকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদারসহ ১৪ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে নাটোর অতিরিক্ত দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক মো. মাইনুদ্দীন আসামিদের বেকসুর খালাস দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, মামলার বাদীসহ অন্য সাক্ষীরা ঘটনার সময় আসামিদের ঘটনাস্থলে দেখেননি বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন। কারা দুই যুবককে হত্যা করেছিল, তা তাঁরা দেখেননি। এ কারণে আসামিরা খালাস পেয়েছেন। মামলার বাদী মামলা করার সময় কারও নাম উল্লেখ করে আসামি করেননি। প্রকৃতপক্ষে মামলাটি রাজনৈতিক আক্রোশ থেকে করা হয়েছিল এবং পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে মিথ্যাভাবে রুহুল কুদ্দুস তালুকদারসহ অন্য নেতা-কর্মীদের আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছিল।
বাদীপক্ষের আইনজীবী (সরকারি কৌঁসুলি) আরিফুর রহমান জানান, বাদীর ভাইসহ দুই যুবক খুন হয়েছেন। এটা প্রমাণিত হয়েছে। তবে কারা তাঁদের হত্যা করেছে, তা সাক্ষীরা শনাক্ত করতে পারেননি। বিষয়টি বিবেচনা করে আদালত আসামিদের খালাস দিয়েছেন।
খালাস পাওয়ার পর রুহুল কুদ্দুস তালুকদার আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে প্রথম আলোকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সময় আমার বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি মিথ্যা মামলা হয়েছে। তার প্রমাণ এখন পাওয়া যাচ্ছে। সব মামলায় আদালত খালাস দিচ্ছেন। দেরিতে হলেও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি আমাদের সরকার পতনের আন্দোলনের কর্মসূচি ছিল। আওয়ামী লীগ সংবিধান সুরক্ষা ও গণতন্ত্র রক্ষায় বিজয় র্যালির পাল্টা কর্মসূচি দিয়েছিল। আমাদের কর্মসূচিতে তেবাড়িয়া এলাকায় যুবদল কর্মী রাকিব ও রায়হান অংশ নেয়। তখন আওয়ামী লীগের ক্যাডাররাই তাদের গুলি করে হত্যা করে। পরে নিহত ব্যক্তিদের লাশ জোর করে তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং পরিবারকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করায়। পুলিশ প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় না এনে আমাকেসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। আজ বিচার শেষে আমরা নির্দোষ প্রমাণিত হলাম। তবে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার প্রকৃত খুনিদের বিচার করতে পারল না। আমি প্রকৃত খুনিদের বিচার চাইছি।’