গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় মাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ছেলের বিরুদ্ধে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কোনাবাড়ীর দেওয়ালিয়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছেলে শাখাওয়াত হোসেন ওরফে মাসুদকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। পরিবার জানিয়েছে, শাখাওয়াত মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
নিহত মায়ের নাম জ্যোৎস্না বেগম (৭০)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার ঘোষেরকান্দি গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী।
নিহত নারীর স্বজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাখাওয়াত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এ নিয়ে বৃদ্ধ মা জ্যোৎস্না বেগম বেশ অশান্তিতে ছিলেন। ছেলের নানা অপকর্মের কারণে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর চিকিৎসা করাতে কোনাবাড়ীর দেওয়ালিয়াবাড়ি এলাকায় মেয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। আজ দুপুর ১২টার দিকে জ্যোৎস্না বেগম বাড়ির বারান্দায় পায়চারি করছিলেন। এ সময় ছেলে শাখাওয়াত মাকে ঘরে ডাকেন। এরপর দরজা বন্ধ করে ঘরে থাকা বঁটি দিয়ে মাকে গলা কেটে হত্যা করেন।
নিহত জ্যোৎস্না বেগমের মেয়ের জামাই বজলুর রহমান বলেন, তাঁর শ্যালককে চিকিৎসা করাতে গতকাল তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসেন শাশুড়ি। কোনো কারণে উত্তেজিত হয়ে মাকে ঘরে ডেকে হত্যার পর দরজা বন্ধ করে বসে ছিলেন শাখাওয়াত। বাড়ির লোকজন কক্ষের দরজা খুলতে বললেও তিনি কোনো কথার উত্তর দেননি। পরে দরজা ভেঙে এ দৃশ্য দেখা যায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ বলেন, নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ছেলেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।