বরিশাল সিটি করপোরেশনের বিদায়ী মেয়র সাদিক আবদুল্লাহসহ পাঁচজনকে বিবাদী করে আদালতে একটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে আরেকজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়।
মঙ্গলবার বরিশাল জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে এ মামলার আবেদন করেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া ভুক্তভোগী শেখ মো. সোয়েব কবির। আদালতের বিচারক মো. হাসিবুল হাসান আবেদনটি গ্রহণ করে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. বায়েজিদ বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবাদী হিসেবে দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁরা হলেন বিদায়ী মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারিং পদে কর্মরত ওবায়েদুর রহমান। বাকি তিনজনের শুধু পদবি উল্লেখ করা হয়। তাঁরা হলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব এবং বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। মামলার বাদী শেখ মো. সোয়েব কবির নগরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের বাসিন্দা শেখ মো. শাহাজাহান কবিরের ছেলে।
বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বরিশাল সিটি করপোরেশন। সেই অনুযায়ী বাদী শেখ মো. সোয়েব কবির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ২০২১ সালের ৯ মে তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান। ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে নিয়মিত বেতন-ভাতা দেওয়া হলেও পরে অজ্ঞাত কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাদী সোয়েব কবির অভিযোগ করে বলেন, তাঁকে চাকরিচ্যুত করার আগেই সরকারি বিধিবিধান না মেনে একই পদে আরেকজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর নগর ভবনে গিয়ে তিনি বেতন-ভাতা প্রদান ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁরা অস্বীকৃতি জানান। এ জন্য আদালতে মামলার আবেদন করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এবার সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি বিদায়ী মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। বিপরীতে তাঁর ছোট চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ মনোনয়ন পান। ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি নির্বাচনে খায়ের আবদুল্লাহ মেয়র পদে জয়ী হন। আগামী ১৪ নভেম্বর বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে। এরপর নতুন মেয়র হিসেবে খায়ের আবদুল্লাহ দায়িত্ব বুঝে নেবেন।