জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিনে মিয়ানমার যুদ্ধজাহাজ নিয়ে এসে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করছে। এতে ওই এলাকার মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এটি সত্যিই দুঃখজনক।
শনিবার বিকেলে ঈদ উপলক্ষে চার দিনের সফরে রংপুরে আসেন জি এম কাদের। পরে সার্কিট হাউসে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘এর আগে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সরকার মানবতা দেখিয়ে সেই বোঝা ঘাড়ে নিয়েছে। বর্তমানে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হোক। আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা দায়িত্ব। সংসদ চালু থাকলে এটি কেন হচ্ছে, আমি প্রশ্ন করতাম।’
বাজেট সম্পর্কে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, সরকার যে বাজেট করেছে, তা দুর্বৃত্তায়ন সহায়ক বাজেট। বিভিন্ন দুর্বৃত্তায়নকে এ বাজেটে উৎসাহিত করা হয়েছে। দুষ্টের পালন ও শিষ্টের দমন করা হচ্ছে বিভিন্ন নীতিতে। সরকারের আশপাশের মানুষ ধনী থেকে অতিধনী হচ্ছে আর সাধারণ মানুষ কষ্ট ভোগ করছে। এবারের বাজেটের মাধ্যমে বৈষম্যের দেশ তৈরি করা হচ্ছে।
জি এম কাদের বলেন, স্বাধীনতার পর কোনো সময় অর্থনৈতিক সংকট হয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। বর্তমানে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা করেছে সরকার। তারা উচ্চাভিলাষী মেগা প্রকল্প করে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়েছে। এগুলো অর্থের বিরাট অপচয়। তাই দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে।
করের বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, বর্তমানে করছাড়ের সুফল পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অপর দিকে করের বোঝা বইতে হচ্ছে জনগণকে। সরকার সংকুচিত অর্থ সরবরাহ মুদ্রানীতি গ্রহণ করার কথা বলেছে। কিন্তু দেশের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেট। তাই এই নীতি কোনো কাজে আসবে না। সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস আমদানি করছে। অথচ দেশে গ্যাসের বিশাল মজুত রয়েছে। সেটি উত্তোলনের বিষয়ে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। এতে উচ্চ মূল্যে জনগণকে বিদ্যুৎ-গ্যাস ব্যবহার করতে হচ্ছে। গ্যাস-সংকট এবং উচ্চ মূল্য দিয়ে গ্যাস ব্যবহার করতে না পেরে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। দেশে বেকারত্ব বাড়ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইয়াসির আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলাউদ্দিন মিয়া প্রমুখ।