মেহেরপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িসহ হিন্দুদের ৯টি বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে এসব ঘটনা ঘটে।
আজ মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, পৌর শহরের হোটেল বাজার এলাকার বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক পল্লব ভট্টাচার্যের বাড়িতে গতকাল আগুন দেওয়া হয়। তাঁর দোতলা বাড়ির নিচতলা একেবারে পুড়ে গেছে। সেখান থেকে বই, আসবাব থেকে পোড়ার গন্ধ বের হচ্ছে।
এ সময় পল্লব ভট্টাচার্যের চাচাতো ভাই অঞ্চল ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাদা মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি। তাঁর বড় মেয়ে প্রিয়া ভট্টাচার্য সপরিবার জাপানে থাকেন। নবজাতক নাতিকে দেখতে তিনি জাপানে গেছেন। যখন দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়, তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে একদল যুবক লাঠি, রড ও লোহার পাইপ নিয়ে পল্লব ভট্টাচার্যের বাসায় হামলা করে। বাড়ির প্রবেশ গেটের তালা ভেঙে প্রথমে লুটপাট করে। এরপর ঘরের আসবাব এক জায়গায় জড়ো করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
একই সময়ে বড় বাজার এলাকার চিত্ত সাহার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়। ওই দোকান থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এরপর হোটেল বাজারের রবীন্দ্রনাথ সড়কে লিনা ভট্টাচার্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করা হয়। বাড়িতে থাকা চারজনকে মারধর করা হয়। লিনা ভট্টাচার্য বলেন, ‘১০-১২ জন ছেলে বাড়ির মূল ফটকের তালা ভেঙে দোতলায় গিয়ে আমাদের মারধর করে। পরে ঘরের আলমারি খুলে সোনার গয়না ও দামি জিনিসপত্র নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ঘরের আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে চলে যায়।’
এ ছাড়া গতকাল সন্ধ্যায় মালোপাড়ার ছয়টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। যাওয়ার সময় তারা পরিবারের সদস্যদের মারধর করে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহিন বলেন, গত সোমবার বিকেল থেকে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। পুলিশের সাহায্য চেয়েও পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সেবাও বন্ধ ছিল। এক রাতে মেহেরপুরের চিত্র পাল্টে গেছে।