নিহত এমরান হোসেন
নিহত এমরান হোসেন

ফেনীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত

ফেনীর পরশুরামে আগের বিরোধকে কেন্দ্র করে এমরান হোসেন (২০) নামের এক কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার বক্সমাহমুদ  ইউনিয়নে দক্ষিণ কেতরাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত এমরান হোসেন পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের দক্ষিণ কেতরাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও পরশুরাম সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয় লোকজন আহত এমরান হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এমরানকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় রাজনীতিকে কেন্দ্র করে একই এলাকার রফিকুল ইসলাম ওরফে রনির সঙ্গে এমরান হোসেনের বিরোধ চলছিল। গত ৫ আগস্টের রাতেও এমরানকে এক দফায় মারধর করা হয়। রফিকুল আগে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করলেও এখন নিজেকে ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। অন্যদিকে এমরান নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সমর্থক ছিলেন। তাঁর বড় ভাই তসলিম হোসেন স্থানীয় খন্ডল স্কুল ও কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি।

আজ বিকেলে এমরানকে পেয়ে রফিকুল কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে হামলা করেন। একপর্যায়ে রফিকুল এমরানকে ছুরিকাঘাত করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এরপর এমরান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা তাঁকে ফেলে চলে যায়।

স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, এটি তাঁদের ব্যক্তিগত বিরোধ। রাজনৈতিক কোনো কারণে খুনের ঘটনা ঘটেনি।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বপন ও কাসেম নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।