কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা সদরে
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা সদরে

চব্বিশ দিয়ে একাত্তর মুছে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়: হাসনাত আবদুল্লাহ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘একাত্তর ও চব্বিশ—এই দুটি লড়াই ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসের লড়াই। সুতরাং একটিকে দিয়ে আরেকটি মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। একাত্তরের লড়াই ছিল পাকিস্তানের অত্যাচার, নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে; ঠিক একইভাবে চব্বিশের লড়াইটিও ছিল আওয়ামী জাহেলিয়াত ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। এই দুটি লড়াই থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাসনাত আবদুল্লাহ এ কথা বলেন।

এদিন বিকেলে নিজের উপজেলা দেবীদ্বার সদর এলাকায় বিভিন্ন দোকান ও পথচারীদের মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেবীদ্বার উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনার থেকে প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশন ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। যেহেতু সরকার দায়িত্ব নিয়েছে যে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটির ঘোষণা করা হবে, তাই আমরা ঘোষণা করিনি। সেই জায়গা থেকে আমরা গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরার জন্য মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছি। প্রান্তিক জনপদ থেকে যারা আন্দোলনে নেমে এসেছিল, সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের কাছে ছুটে যেতে চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। তাই পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে তাদের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা, এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে সেটি প্রতিফলিত হতে হবে। জনগণ যেভাবে চাইবে, সেভাবেই চব্বিশ–পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে। যেখানে ফ্যাসিবাদ, দুঃশাসন ও অপশাসন থাকবে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সরকার ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থান ও বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হাতে নেবে। সরকারের জুলাই ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দিতে হবে। এ ছাড়া প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভল্যুশনের ঘোষণাপত্রে ১৯৪৭ থেকে একাত্তরের পথযাত্রা এবং ১৯৭১ থেকে চব্বিশের পথযাত্রার সুস্পষ্ট বর্ণনা থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই এবং সংগ্রামের দীর্ঘ সময়ের যে ইতিহাস রয়েছে, সেই ইতিহাসের স্বীকৃতি থাকতে হবে। আওয়ামী জাহেলিয়াতের সময় খুন, গুম, হত্যা নির্যাতন, নিপীড়নের বর্ণনা থাকতে হবে।’