শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল সোমবার উপজেলার সিঙ্গাবরুণা ইউনিয়নের হারিয়াকোনা গ্রামের সীমান্তের ১০৯৫ নম্বর পিলারসংলগ্ন এলাকা থেকে বিজিবির কর্ণঝোড়া সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন করেন। পরে ফাঁড়ির নায়েক সুবেদার মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে গ্রেপ্তার পাঁচজনসহ আটজনের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের ফরহাদুল ইসলাম (২৩), নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার ওকন্দীপুর গ্রামের নাজিম উদ্দীন (২২), শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বকুলিকান্দা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (২৬), ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের জয় (৩০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ইটনা গ্রামের খাদিজা বেগম (২২)। বিজিবি তাঁদের গ্রেপ্তারের সময় আরও তিনজন পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়া তিনজন হলেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার মেঘাদল গ্রামের ফারুক মিয়া, বাবেলাকোনা গ্রামেরদিলু মিয়া ও চান্দাপাড়া গ্রামের জিনু মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে এক তরুণীসহ আটজন শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা হারিয়াকোনা গ্রামে যান। এ সময় সীমান্তের ১০৯৫ নম্বর পিলারের পাশে তাঁদের সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে বিজিবি ও কর্ণঝোড়া সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তিনজন পালিয়ে যান। গতকাল সন্ধ্যায় বিজিবি তাঁদের শ্রীবরদী থানায় হস্তান্তর করে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তবে বেশি বেতনে ভারতের গার্মেন্টসে চাকরির আশায় দেশটিতে যাওয়ার জন্য তাঁরা এই সীমান্ত বেছে নিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে পলাতক তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।