নরসিংদীর মনোহরদীতে এক প্রবাসী নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি (২৬) মনোহরদী উপজেলায়। বিবাহবিচ্ছেদের পর একমাত্র সন্তানকে বাবার বাড়িতে রেখে উপার্জনের আশায় বিদেশে যান ওই নারী। প্রায় দুই বছর সেখানে থাকার পর গত রোববার তিনি দেশে ফেরেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের নাজমুল মিয়া (২৮) ও রাকিব মিয়া (২৬)। নাজমুল সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। রাকিব এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত।
ভুক্তভোগী নারীর বরাত দিয়ে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে ওই নারী চালাকচর বাজারে মুঠোফোনের সিম ও সন্তানের জন্য জামা কিনতে গিয়েছিলেন। কেনাকাটা শেষে রাত নয়টার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য নাজমুলের অটোরিকশায় উঠেন। এ সময় ওই অটোরিকশায় আরও দুজন যাত্রী ছিলেন। চালক এবং ওই দুই যাত্রী মিলে তাঁকে গন্তব্যে না পৌঁছে দিয়ে চালকের বাড়ি মনতলা গ্রামে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁর মুখ চেপে ধরে বাড়ির ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তাঁরা তাঁকে বাড়িসংলগ্ন পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানেও তাঁরা তাঁকে ধর্ষণ করেন।
মঙ্গলবার ভোরে ফজর নামাজের আজানের সময় ওই নারীকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা। ভোরের দিকে কোনোরকম হেঁটে মনতলা বাজারে যান ওই নারী। সেখানে দুজন বয়স্ক ব্যক্তির কাছে ওই নারী ধর্ষণের ঘটনার কথা জানালে তাঁরা তাঁকে তাঁর বাবার বাড়িতে নিয়ে যান। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল দিয়ে বিষয়টি জানানো হলে স্থানীয় রামপুর তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দীন জানান, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত জেনে ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। পরে দিনভর অভিযান চালিয়ে পালিয়ে থাকা দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অপর ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।