দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দুই শিক্ষার্থী নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে জেলার ঘোড়াঘাট থানা-পুলিশের সহযোগিতায় ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই নেতার নাম মেহেদী হাসান ওরফে সিজু (২৫)। তিনি ঘোড়াঘাট উপজেলার দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের ঘোড়াঘাট উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে দিনাজপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হাকিমপুর থানার উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান।
হাকিমপুর থানায় মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাবেক পৌর মেয়র জামিল হোসেনের বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে আসাদুজ্জামান নূর ওরফে সূর্য (১৭) ও মুহতাসিম নাঈম (১৭) নামের দুই শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আসাদুজ্জামান নূরের বড় ভাই মো. সুজন বাদী হয়ে গত ১৯ আগস্ট সকালে হাকিমপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি হিসেবে দিনাজপুর-৬ (হাকিমপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ, পৌর মেয়র জামিল হোসেনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ওই মামলায় আরও ৯০ থেকে ১০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার উপপরিদর্শক আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলার তদন্তের পর সংশ্লিষ্টতা আসায় গতকাল সন্ধ্যায় হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে আসামি মেহেদী হাসানকে ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে দিনাজপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। হাকিমপুর থানায় ওই হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান আরিফুর রহমান।