কুপিয়ে হত্যা
কুপিয়ে হত্যা

ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সুরুজ মিয়া (৬৫) নামের আওয়ামী লীগ এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁর দুই ছেলেসহ চারজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত সুরুজ মিয়া কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ও আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০)। অন্য দুজন অটোরিকশাচালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।

নিহত ব্যক্তির ভাগনে নূর হোসেন বলেন, সদর উপজেলার উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া গ্রামে তাঁদের অটোরিকশার গ্যারেজ ও ইট-বালুর ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসা নিয়ে এলাকার সালাউদ্দিন সালু ও হিরার সঙ্গে তাঁদের বিরোধ ছিল। এ ছাড়া সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে আজ সকালে চাঁদা দাবি করেন। ভুক্তভোগী সেই লোক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। এ নিয়ে সালু ও হিরাকে শাসন করেন সুরুজ মিয়া। এর জেরে এলাকার মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালান সালু, হিরাসহ ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল। তাঁদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। খবর পেয়ে ছেলেসহ স্বজনেরা এগিয়ে গেলে তাঁদেরও আহত করেন ঘাতকেরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সুরুজ মিয়ার মাথায়, হাতসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া অন্যদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি ফতুল্লা মডেল থানা–পুলিশকে জানানো হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম প্রথম আলোকে জানান, ইট-বালুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।