কেউ এসেছেন সিলেটের মফস্সল এলাকা থেকে। আবার কেউ রাজশাহীর প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে। নানা বাধাবিপত্তি পার হয়ে আসতে হয়েছে অনেককে। কারও মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞান কিংবা গণিতের ভয়। গল্পগুলো চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) সামার স্কুল কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা দেশের বিভিন্ন জেলার উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ৮৯ শিক্ষার্থীর। কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার আগে নিজেকে তুলে ধরার সাহসের একটু অভাব ছিল যেন তাঁদের মধ্যে। তবে এখানে এসে নতুন করে সাহসের সন্ধান মিলল। নিজেদের নতুন করে আবিষ্কারও করা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার নগরের এম এম আলী সড়কে এইউডব্লিউর মিলনায়তনের সামার স্কুলের পরিচয় পর্বে নিজদের গল্প তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, সিলেট, ময়মনসিংহ, খাগড়াছড়ি, নীলফামারীসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন তাঁরা। এক মাসব্যাপী এ সামার স্কুলে বিজ্ঞান, গণিত, প্রযুক্তি, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাতে-কলমে শিখবেন। নিজেদের অভিব্যক্তি জানিয়ে তাঁরা বলেন, তাঁরা সবাই নিজেদের নতুনভাবে দেখছেন। এখানে এসে বেড়েছে আত্মবিশ্বাস।
এবার চতুর্থবারের মতো সামার স্কুলের আয়োজন করেছে এইউডব্লিউ। ২০১৯ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক মাসব্যাপী এ আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতিবারের মতো এবারও এর পৃষ্ঠপোষকতা করছে শেভরন বাংলাদেশ। এবারের সামার স্কুলে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেবেন।
অনুষ্ঠানে সামার স্কুলের বিস্তারিত তুলে ধরেন সামার স্কুলের পরিচালক মহিউদ্দিন আহসানুল কবির চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবু তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মুনাল মাহবুব। তাঁরা বলেন, দেশের নারীদের সংখ্যা বেশি। তবে অনেকেই সামনে এগিয়ে আসতে ভয় পান। এখানে যাঁরা এসেছে, তাঁরা সবাই দলগত কাজ, উদ্ভাবনী কাজ ও সম্পর্ক তৈরির গুরুত্ব বুঝবেন, শিখবেন। যা তাঁদের নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে নেবে।
অনুষ্ঠানে শেভরন বাংলাদেশের কমিউনিটি এনগেজমেন্ট ও সামাজিক বিনিয়োগের ব্যবস্থাপক খন্দকার তুষারুজ্জামান বলেন, শেভরন শিক্ষা ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার চেষ্টা করে। এইউডব্লিউর সামার স্কুলে শুরু থেকে শেভরন পাশে ছিল। ভবিষ্যতেও থাকবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিউ মার্টিন, স্টুডেন্ট রিক্রুটমেন্ট পরিচালক সুমন চ্যাটার্জি, সামার স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, সামার স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শেভরন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। আগামী এক মাস শিক্ষার্থীরা সামার স্কুলে অবস্থান করবেন।