ময়মনসিংহে বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘বিএনপির আন্দোলন ধাপে ধাপে সফল হচ্ছে। এটাকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে। যথাসময়ে সঠিক কাজটি করতে হবে।’
আজ বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় সড়কে এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
১০ দফা আদায় ছাড়া এ দেশের মানুষের মুক্তি হবে না—মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে পত্রিকায় দেখলাম বলা হয়েছে যে ধাক্কা দিলেই পড়ে যাব, তা হবে না। ঠিক আছে, ধাক্কা দিলে যদি না পড়েন তাহলে যা করলে পড়বেন, আমরা এর সবটাই করব। কিন্তু তার প্রস্তুতি কি আছে?’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘১০ দফায় আমরা বলেছি, এই সরকার গরিবের ওপর জুলুম করার জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে। এমনকি ওষুধের মূল্যও বৃদ্ধি করেছে। হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। শুধু ভালো আছে তারা, যারা ঘুষ খায়, চাঁদাবাজি করে, লুটপাট করে।’
১০ দফা ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে ১৬ জানুয়ারি সারা দেশের মহানগর জেলা-উপজেলা, পৌরসভায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবেন বলেও জানিয়েছেন নজরুল ইসলাম খান।
গণ–অবস্থান কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘যারা নিরীহ মানুষকে গুম করে এবং হত্যা করে, তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। তারেক রহমানের ধাক্কা ছোট না। শিগগিরই ডাক আসছে। আর টিকতে পারবেন না। চূড়ান্ত আন্দোলনে এই সরকারকে বিদায় করা হবে।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, ‘গণ–অবস্থানে আন্দোলনের নবতর পর্যায়ের সূচনা হয়েছে। এরপর গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করব, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব।’
ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক ছাড়িয়ে নগরের গাঙ্গিনার পার, নতুন বাজার, জিলা স্কুল মোড়, পুরাতন ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেও কর্মসূচিতে আসা বিএনপির নেতা–কর্মীদের ভিড় দেখা যায়।
স্থানীয় নেতারা তাঁদের বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের সব কারাবন্দীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তাঁদের মুক্তির দাবি জানান। সম্প্রতি ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের ছবি হাতে নিয়ে স্লোগান দেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।