নারায়ণগঞ্জ নগরের চাষাঢ়া এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছে। এতে চাষাঢ়া মোড় থেকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও ইটপাটকেলের আঘাতে ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। বেলা তিনটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে নগরের চাষাঢ়া এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও ইটপাটকেল ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় দফায় দফায় সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেন। সেখানে পুলিশের পিকআপ ভ্যানে আগুন দেন তাঁরা। এ সময় এক পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে তাঁর নাম জানা যায়নি। বেলা পৌনে একটার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শহরের খাজা সুপার মার্কেটের সামনে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে উল্টে আগুন দেন। আরও দুটি গাড়ি পুলিশ দ্রুত সরিয়ে নেওয়ায় সেগুলো রক্ষা পায়।
অন্যদিকে বেলা সোয়া ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ আদমজী সড়কের শিমরাইল বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ছাত্রলীগের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেন শিক্ষার্থীরা। মোটরসাইকেলটি স্থানীয় ছাত্রলীগের এক নেতার বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ার বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।