সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু
সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু

আচরণবিধি ভাঙায় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথকে আবারও শোকজ

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে আবারও কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। গতকাল শনিবার বরগুনা-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা যুগ্ম জজ আহম্মদ সাঈদ এই নোটিশ দেন।

এর আগে তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার নামে নির্বাচনী প্রচারণামূলক জনসভা করার অভিযোগে ১১ ডিসেম্বর ধীরেন্দ্র দেবনাথসহ আওয়ামী লীগের ৯ নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে পরে ধীরেন্দ্র দেবনাথকে তলব করে নির্বাচন কমিশন। বক্তব্য শোনার পর নির্বাচন কমিশন ২৭ ডিসেম্বর তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং রাজনৈতিক দল কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান আছে। প্রার্থিতা বাতিল করারও ক্ষমতা আছে ইসির।

এবার ধীরেন্দ্র দেবনাথ কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন উন্নয়ন নিয়ে সমালোচনাকারীদের ‘শয়তানের’ সঙ্গে তুলনা করার অভিযোগে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে বরগুনা-১ আসনের তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের জনসভায় প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমালোচনা করে বলেন, ‘যারা বলে উন্নয়ন হয়নি, তারা ইডিয়েট, সব মোনাফিকি কথা, ইবলিশের কথা। এই ইবলিশ শব্দটি হলো আল্লাহর কথা, আর আমাদের ভাষায় হলো শয়তান, আমি আল্লাহর ভাষায় তাদের ইবলিশ বলব, এই ইবলিশদের বিচার হবে ইনশা আল্লাহ।’

নোটিশে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২–এর ৭৩ (৩) (ক) ধারা এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮–এর ১১ (ক) বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় নিজে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ধীরেন্দ্র দেবনাথকে।

বরগুনার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহা. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথকে গতকাল নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ধরেননি।