নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় তাবলিগ জামাতে আসা এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আমানউল্লাহপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের জামে মসজিদসংলগ্ন একটি আমগাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ওই যুবকের নাম মাহাদী হাসান (২৭)। তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর বড়ভিটা গ্রামের শামসুল হক পলাশের ছেলে। উদ্ধারের পর তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাহাদী হাসান গত ১৮ মে তাবলিগ জামাতের ১৪ সদস্যের একটি দলের সঙ্গে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্লাহপুর ইউনিয়নের বোখারি জামে মসজিদে আসেন। গতকাল শনিবার রাতে দলের সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে ঘুম থেকে ওঠার পর সফরসঙ্গীরা দেখেন, মসজিদের ভেতর মাহাদী হাসান নেই। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সকালে মসজিদের পাশের একটি আমগাছের সঙ্গে মাহাদীর লাশ ঝুলতে দেখা যায়। সকালে বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে মাহাদী হাসানের লাশ নিচে নামায়।
তাবলিগ জামাতের সদস্যদের বরাত দিয়ে বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, মাহাদী হাসান জামাতে আসার পর থেকে তাঁকে মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত দেখা গেছে বলে তাঁর সঙ্গীরা দাবি করেছেন। তবে তিনি এভাবে ‘গলায় ফাঁস দিতে পারেন’ বলে তাঁদের ধারণা ছিল না। গতকাল রাতেও মাহাদী হাসান সবার সঙ্গে একত্রে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন।
এসআই আবদুল আউয়াল বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর আত্মীয়স্বজনকে খবর পাঠানো হয়েছে। তাঁরা এলে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।