বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় নিখোঁজের ১১ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের ধানখেত থেকে আবদুল মালেক সরদার (১৫) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার চেঙ্গা ছাতিয়াগাড়ি মহল্লা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আবদুল মালেক ওই মহল্লার মৃত হাসমত আলী সরদারের ছেলে। সে দুপচাঁচিয়া সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড বাজারের একটি মুরগির দোকানের কর্মচারী ছিল। পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালেক প্রতিদিনের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে দোকান থেকে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। তবে এর পর থেকেই মালেকের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
মালেকের মা তারা বানু বেওয়া বলেন, গতকাল রাতে আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও মালেকের সন্ধান মেলেনি। আজ সকালে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাড়ির পাশের একটি ধানখেত থেকে মালেকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
দোকানের মালিক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাত নয়টার দিকে মালেক দোকান বন্ধ করে। এরপর পাশের দোকানের এক কর্মচারীর সঙ্গে মালেক এখান থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু এরপর রাতে আর সে বাড়িতে ফেরেনি।’
দুপচাঁচিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রশিদ বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকাল সাড়ে আটটার দিকে চেঙ্গা ছাতিয়াগাড়ি এলাকার একটি শ্যালো মেশিনঘরের পাশের ধানখেত থেকে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে সুরতহাল প্রতিবেদনে মালেকের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটা হত্যা নাকি অপমৃত্যু, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
তারা বানু বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলেটার উপার্জনেই সংসার চলত। সে ছিল বেঁচে থাকার অবলম্বন। এখন আমি কাকে নিয়ে বাঁচব!’