চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার অন্তত পাঁচটি স্থানে দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্র-জনতার মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এই অংশে অন্তত ১০ ঘণ্টা ধরে শত শত যানবাহন আটক পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
শনিবার বেলা তিনটা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা যায়। লোহাগাড়ার ঠাকুরদিঘি, পদুয়া বাজার, খালেকের দোকান, আমিরাবাদ স্টেশন ও আধুনগর বাজার এলাকায় বিক্ষোভকারীদের এ অবস্থান দেখা গেছে। এর মধ্যে দুটি স্থানে মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও অন্যগুলোতে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধের ঘটনা ঘটে।
শনিবার বেলা ৩টায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল শুরু হলে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ঠাকুরদিঘি বাজারের দক্ষিণ পাশ পর্যন্ত যায়। পরে বিক্ষোভকারীরা আমিরাবাদ স্টেশনে জড়ো হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে আমিরাবাদ স্টেশনে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। পদুয়া বাজারে বেলা ২টা থেকে পুলিশ, বিজিবি ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিলেও শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় পিছু হটে তারা। এরপর লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ঠাকুরদিঘি বাজার থেকে চুনতি বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশ বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তারা মহাসড়কের অন্তত ৫টি স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও স্লোগান দিতে থাকেন।
ব্যস্ততম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দীর্ঘ সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকায় আটকে পড়া শত শত যানবাহনের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার ব্যবসায়ী ইনজামাম নূর আটকা পড়েন আধুনগর বাজারে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুপুরে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। আমাদের বহনকারী বাস বেলা ৩টায় লোহাগাড়ায় আটকে যায়। দীর্ঘ ৯ ঘন্টা ধরে এখনো একই জায়গায় আটকে আছি।’
ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বেলা ৩টা থেকে তাঁদের বহনকারী যাত্রীবাহী বাস লোহাগাড়া অংশে আটকা পড়েছিল। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই বাস আবার কক্সবাজারের দিকে ফিরে যায়।
লোহাগাড়া থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, বিনা উসকানিতে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তারা থানার মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে।