সাতক্ষীরার তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইনামুল হকসহ পুলিশের ২৫ জন ও আওয়ামী লীগের তিন নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলার জন্য এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নয়ন বড়ালের আদালতে কালীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের মফিজউদ্দিন সরদারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে ওই এজাহার জমা দিয়েছেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে তদন্ত সাপেক্ষে মামলার এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী এ টি এম বাসারাতুল্লাহ আওরঙ্গী বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল শহরের কামালনগরের একটি ছাত্রাবাসে তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি ইনামুল হকের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তৎকালীন ছাত্রশিবিরের সাতক্ষীরা শহর সেক্রেটারি আমিনুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় ওই ছাত্রাবাসে থাকা আরও সাতজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুলিশ তখন এ মামলাটি আমলে নেয়নি।
মামলার অভিযোগে যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, কাজী মনিরুজ্জামান, ইনামুল হক, উপপরিদর্শক আবুল কাশেম, হুমায়ূন কবীর, বিধান কুমার বিশ্বাস, ইয়াছিন আলী, হান্নান শরীফ, আবুজার গিফারী, সহকারী উপপরিদর্শক লিটন বিশ্বাস এবং কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম, বেলায়েত হোসেন, জিল্লুর রহমান, বাবুল হোসেন, ফারুখ হোসেন, শেখ আলম, আব্দুল হান্নান, হাবিবুর রহমান, রাসেল মাহমুদ, ওমর ফারুক, আব্দুর রহমান, আবিদুর রহমান, আসাদুজ্জামান, বদরুল আলম ও ডিবি সদস্য আলি হোসেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা এস এম ইউসুফ সুলতান ও শহরের এলাকার মো. বাবর আলীকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ টি এম বাসারাতুল্লাহ আওরঙ্গী ও মো. হাফিজুর রহমান। আইনজীবীরা বলেন, মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।