কক্সবাজারে সাগরে গোসলে নেমে নিহত স্কুলছাত্র মো. আসমাইন
কক্সবাজারে সাগরে গোসলে নেমে নিহত স্কুলছাত্র মো. আসমাইন

কক্সবাজারে গোসলে নেমে সাগরে ভেসে যাওয়া কিশোরের লাশ উদ্ধার

কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টা পর সমুদ্রসৈকত থেকে মো. আসমাইন (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা দুইটার দিকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্টের এক কিলোমিটার দূরে সমিতিরপাড়া এলাকায় তার লাশ ভেসে আসে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসমাইন তার বন্ধুদের সঙ্গে সাগরে গোসল করতে নেমে স্রোতে ভেসে যায়।

নিহত কিশোর আসমাইন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার বাসিন্দা করিমুল হকের ছেলে। সে শহরের কক্সবাজার ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাসুদুল ইসলাম বলেন, সকালে সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে আসমাইনসহ ছয় কিশোর গোসলে নামে। তখন সমুদ্র উত্তাল ছিল। একপর্যায়ে স্রোতের টানে তিনজন ভেসে যায়। এ সময় কিশোরদের চিৎকারে স্থানীয় লাইফগার্ডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে দুজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে আসমাইন গভীর সাগরের দিকে ভেসে যায়। বেলা একটা পর্যন্ত সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে সমিতিরপাড়া সমুদ্রসৈকত এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

লাইফগার্ডের কর্মী মো. ওসমান গণি প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরের দিকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের ভেসে আসা লাশ উদ্ধার করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর বেশ কিছুদিন ধরে উত্তাল রয়েছে। উত্তাল সমুদ্রে গোসলে নামতে নিষেধ করে সৈকতে একাধিক লাল নিশানা ওড়ানো হচ্ছে। বেশির ভাগ পর্যটক কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে থাকেন। শৈবাল পয়েন্ট অনেকটা নিরিবিলি থাকে, সেদিকে কেউ গোসলেও নামেন না। নির্জন সৈকতে গোসলে নামার আগে আশপাশের পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে নামা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।