বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি ও বারপাইকা গ্রামের নিপুল কীর্ত্তনিয়ার সঙ্গে রত্নপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ শাহর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। নিপুল কীর্ত্তনিয়া বৃহস্পতিবার রাতে বারপাইকা বাজারে গেলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিপুল কীর্ত্তনিয়া তাঁর সমর্থকদের নিয়ে বিএনপি নেতার ওপর পাল্টাহামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিপুল কীর্ত্তনিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর বিএনপি নেতা ফিরোজ শাহ আমার কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছিল, আমি তা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে আমাকেসহ পাঁচ নেতা-কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে। গুরুতরভাবে আহত নিহার কীর্ত্তনিয়া, আশীষ বৈদ্য, বিজন বিশ্বাস ও জয় বিশ্বাসকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বিএনপি নেতার নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাস–চাঁদাবাজিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।’
এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা ফিরোজ শাহ বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে নিপুল বিএনপি ও সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালিয়েছেন। এখন আবার নতুন করে সন্ত্রাসীদের নিয়ে জড়ো হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর পরিকল্পনা করলে খবর পেয়ে এলাকার বিক্ষুব্ধ মানুষ হামলা চালান। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার কথা শুনেছি। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’