কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি ভূরুঙ্গামারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জোবায়ের হোসেন ও আমিনুর রহমানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার সকালে কুড়িগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুমন আলী এ আদেশ দেন।
এই মামলার প্রধান আসামি ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার তাঁকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি–তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজাহার আলী বলেন, দুই আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। প্রধান আসামি লুৎফর রহমান তিন দিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেগুলো যাচাই–বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সহকারী কৌঁসুলি দিলরুবা আহমেদ। তিনি বলেন, আসামিরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটিয়ে দেশ ও জাতির ক্ষতি করেছেন। তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের চেষ্টা অব্যাহত।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন শিক্ষক ও একজন অফিস সহায়ককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন—প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান, ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক জোবায়ের হোসেন, কৃষিশিক্ষার শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন ও অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। এজাহারভুক্ত আসামি অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক। তাঁদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা হয়। মামলাটি করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী। এ ঘটনায় গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও কৃষিশিক্ষার পরীক্ষা স্থগিত এবং উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।