গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা–ময়মনসিংহ অবরোধ করেন আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ সকালে নয়নপুর এলাকায়
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা–ময়মনসিংহ অবরোধ করেন আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ সকালে নয়নপুর এলাকায়

শ্রীপুরে সিরামিক কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ, মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ

গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনসহ কয়েকটি দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নয়নপুর এলাকায় বিক্ষোভ করছেন একটি সিরামিক কারখানারা শ্রমিকেরা। ওই এলাকার আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে চলা এ বিক্ষোভের কারণে বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে দফায় দফায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কারখানার প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা কারখানার সামনের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় লেনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রভাবে নয়নপুর থেকে দক্ষিণে মাওনা চৌরাস্তা হয়ে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি পর্যন্ত ও উত্তরে স্কয়ার মাস্টারবাড়ি পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিকদের ইনক্রিমেন্ট সুবিধা ও অন্যান্য বকেয়া পরিশোধের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছেন।

মো. আরিফুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিকদের কিছু অংশের বেতন ও ইনক্রিমেন্ট বন্ধ রেখেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

তবে এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এমসি বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. ওমর ফারুক বলেন, মাঝেমধ্যে সড়ক থেকে শ্রমিকেরা চলে গিয়ে সড়কের পাশে অবস্থান করলে যান চলাচল শুরু হয়। এরপর সড়কের অন্য অংশে আবারও শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেন। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যেরা ঘটনাস্থলে এলে শ্রমিকেরা সড়ক ছেড়ে কারখানার সামনে ও আশপাশে অবস্থান নেন। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল শুরু হয়। এরপর আবার শ্রমিকেরা সড়কে নামলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সড়কে অবস্থান করে আন্দোলনের ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সকাল সাতটা থেকে দফায় দফায় বন্ধ থাকে। আমরা সেখানে কাজ করছি।’