ওয়াসার পানির দাম কমানোর দাবিতে জানুয়ারি পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। সেই সঙ্গে প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহার, ভুতুড়ে বিল বাতিলসহ দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার দাবিও জানানো হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এসব দাবি তোলা হয়।
বক্তারা বলেন, ওয়াসা যে পানি নগরবাসীকে সরবরাহ করছে, তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সম্প্রতি ওয়াসার পানিতে ‘কলিফর্ম’ নামের ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। অথচ পানির গুণগত মান না বাড়িয়ে অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের সেবার নামে মানুষের পকেট কাটার ছক কষে নেসকো বিদ্যুৎ গ্রাহকের অজান্তেই টাকা লুট করছে। নেসকোর প্রিপেইড মিটার বাতিল ও ভৌতিক বিল আদায় বন্ধ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘রাজশাহী ওয়াসার পানি পান করে পেটের পীড়া হচ্ছে, মাথার চুল উঠে যাচ্ছে এবং ত্বক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গণশুনানি করে পানির দাম নির্ধারণ করতে হবে। অস্বাভাবিক হারে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা রাজশাহীর জনগণ ভালোভাবে নেননি। এখন সময় এসেছে। জানুয়ারি পর্যন্ত আলটিমেটাম দিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে পানির দাম কমিয়ে নগরবাসীকে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহ করবে। নয়তো আমরা রাজপথে থেকে দাবি আদায় করব।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে বক্তারা বলেন, সামনে পবিত্র রমজান মাস। এই মাসের আগেই যে হারে দাম বাড়ছে, তাতে মানুষ খুব কষ্টের মধ্যে আছে। তাই রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন পবার হরিপুরের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, আইনজীবী হোসেন আলী, রাজশাহী সার্ভে ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ মাহমুদ হাসান, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক হারুনার রশিদ, প্রকৌশলী জিয়াউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আফজাল হোসেন, ছাত্রনেতা জাহিদ হাসান, রাজশাহী মহিলা ওয়েব সভাপতি আনজুমা আরা পারভীন, ছাত্রনেতা খালিদ বিন ওয়ালিদ, নারীনেত্রী সেলিনা বেগম, ব্যবসায়ী নেতা গোলাম নবী প্রমুখ।