খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দেন তালুকদার খালেক। এ সময় তাঁর সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তালুকদার আবদুল খালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে দুর্বল ভাবা যাবে না। যে-ই নির্বাচন করবে, সে-ই আমার প্রতিপক্ষ। ফলে কে আসল, কে না আসল—সেটা আমার বিষয় নয়। পাঁচ বছর অন্তর নির্বাচন নিয়ম অনুযায়ী হবে, এটাই স্বাভাবিক।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তালুকদার খালেক বলেন, ‘সবারই এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের একমাত্র মাধ্যম, সেটা রাজপথ নয়, সেটা নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা যাচাই করা উচিত। নির্বাচন কমিশন বারবার বলছে, এই নির্বাচন আপনারা পরীক্ষামূলক হিসেবে করেন। কিন্তু তারা সাড়া দিচ্ছে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। সবার নির্বাচন করা উচিত।’
ইভিএমে নির্বাচনের বিষয়ে তালুকদার খালেক বলেন, গত বছরও খুলনায় ইভিএমে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারও নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইভিএম সিস্টেমে ভোট হবে। এটা একটি আধুনিক পদ্ধতি। এই সিস্টেমে নির্বাচন হওয়া ভালো।
আজ বিকেল চারটার দিকে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। শেষ দিনে তালুকদার খালেকসহ চার মেয়র পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান। বেলা দুইটার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবদুল্লাহ চৌধুরী ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন। তবে যাঁরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন, তার মধ্যে ১ জন মেয়র পদপ্রার্থী, ৩৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
খুলনা সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, আজ মেয়র পদপ্রার্থীদের বাইরে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার জন্য ৪৪ জন ও ১০টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের জন্য ৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে গতকাল সোমবার পর্যন্ত সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য ১৮৮ জন ও সংরক্ষিত আসনের জন্য ৪০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। আর ওই সময়ের মধ্যে জমা দিয়েছিলেন সাধারণ ওয়ার্ডের ১০৫ কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৩১ জন প্রার্থী। এ ছাড়া মেয়র পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনজন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য গতকাল পর্যন্ত আটজন মেয়র পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এ নিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য সরাসরি চারটি দলের প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। এদিকে চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও আবদুল গফ্ফার বিশ্বাস নামের একজন মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না বলে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম। এর আগের দিন জমা দিয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুল আওয়াল।