জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশব্যাপী সাইকেলে ঘুরে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তরুণ আবদুল্লাহ মজনু। সেই লক্ষ্যে বুধবার সকাল ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসের সামনে থেকে সিলেটের উদ্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছেন তিনি।
ঢাকার মর্নিং স্কোয়াড নামে একটি সংগঠন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ‘আছে মাটি নাই গাছ, চাকায় ঘুরে দেখে-শুনে লাগাব গাছ’ এই স্লোগানে কর্মসূচি শুরু করেছে। কর্মসূচির মধ্যে আছে সাইকেল যাত্রা, প্রতিটি জেলার নয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ ও প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করার বিষয়ে কর্মশালা। এরই অংশ হিসেবে মর্নিং স্কোয়াডের প্রতিনিধি আবদুল্লাহ মজনু বুধবার সকালে সিলেটের উদ্দেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ২৫টি বৃক্ষরোপণ করেছেন আবদুল্লাহ।
আবদুল্লাহ বরিশাল বিমানবন্দরের ক্যাডেট কলেজসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবা আবদুল জলিল বরিশাল ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক ও মা ফেরদৌসী বেগম সেখানকার লৌহালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। আবদুল্লাহ ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
আবদুল্লাহ মজনু বলেন, দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘মর্নিং স্কোয়াড’ সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে। জলবায়ু বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে তাঁরা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে পরামর্শ চেয়ে চিঠি দেন। এরই আলোকে প্রাথমিকভাবে ৯০ দিনে সাইকেলে সারা দেশ ঘুরে এই কর্মসূচি পালন করবেন। প্রতিটি জেলায় এক থেকে দুই দিন করে অবস্থান করবেন।
মা–বাবার অনুপ্রেরণায় সচেতনতামূলক এই কাজে বের হয়েছেন বলে জানালেন আবদুল্লাহ মজনু। তিনি বলেন, সংগঠনের টাকায় গাছ কেনাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রচার চালাতে গিয়ে তিনি বেশ সাড়া পেয়েছেন। গত সোমবার তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসেছেন। মঙ্গলবার জেলার নয়টি প্রতিষ্ঠানে ঘুরে গাছ লাগিয়েছেন। সিলেট বিভাগের সব জেলা আগে সাইকেলে ঘুরবেন তিনি। পর্যায়ক্রমে বাকি জেলাগুলোতে যাবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবদুল্লাহর শুভাকাঙ্ক্ষী আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের প্রভাষক আলী আহাদ রতন ও সাইক্লিস্ট মো. নোমান। তাঁরা প্রথম আলোকে জানান, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই আবদুল্লাহ সাইকেলে ঘুরে প্রচার কাজ শুরু করেছেন। এ উদ্যোগ বেশ প্রশংসনীয় ও সময়োপযোগী।